জয়পুর, 11 নভেম্বর: রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে ৷ মরুরাজ্যের 200টি আসনে ভোট 25 নভেম্বর ৷ 3 ডিসেম্বর ফল ঘোষণা ৷ এর মধ্যে বুথ তৈরির কাজ হচ্ছে ৷ রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বুথ তৈরি করা হচ্ছে ৷ মরু অঞ্চল থেকে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যেতে পারেন, তার সব বন্দোবস্ত করছে নির্বাচন কমিশন ৷ ভোটারদের যেন খুব বেশি দূরে যেতে না হয়, সেদিকেই নজর রেখেই কমিশন সমস্ত ব্যবস্থা করছে ৷
তেমনই একটি প্রত্যন্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে বারমার গ্রামে ৷ ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত এই বারমার গ্রামে ভোটারের সংখ্যা মাত্র 35 ৷ প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে রাজস্থানের সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় 1 হাজার 170 কিমি ৷ এই গ্রামটি থেকে জেলা সদরের দূরত্ব 150 কিমি ৷ আর আন্তর্জাতিক সীমান্ত মাত্র 1 কিলোমিটার দূরে ৷ এই গ্রামে শিশু-সহ জনসংখ্যা প্রায় 70 জন ৷ তাদের মধ্যে 35 জন ভোট দিতে পারবেন ৷
রাজস্থানের সঙ্গে আরও চারটি রাজ্য- মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মিজোরাম, ছত্তিশগড়েও বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে ৷ এর মধ্যে 7 নভেম্বর মিজোরামে বিধানসভা ভোট হয়ে গিয়েছে ৷ এদিনই ছত্তিশগড়ে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে ৷ দ্বিতীয় দফায় ভোট 17 নভেম্বর ৷ এদিন আবার মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন ৷ বিজেপি শাসিত এই রাজ্যটিতে আসন সংখ্যা 230টি ৷
এই রাজ্যে এমন একটি গ্রাম আছে যেখানে ভোটকর্মীদের নৌকা করে ইভিএম মেশিন নিয়ে যেতে হবে ৷ প্রত্যন্ত এই ঝানদানা গ্রামটি আলিরাজপুর জেলায় অবস্থিত ৷ ভোটকর্মীরা নৌকায় চড়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে যাবেন ৷ তারপর পাহাড়ি এলাকায় বন্ধুর রাস্তা হেঁটে এই গ্রামে পৌঁছতে হবে ৷ এবার পঞ্চায়েত ভবনেই ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ৷ ঝানদানায় সব মিলিয়ে এক হাজার মানুষের বাস ৷ তাঁদের মধ্যে 763 জন ভোট দিতে পারবেন ৷ আলিরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত এই প্রত্যন্ত গ্রামের আসনটি শুধুমাত্র তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ৷ গ্রামবাসীর ক্ষোভ, এবার ভোটের আগে তাঁদের কাছে কোনও নেতাই আসেননি ৷ এমনই আবহে হবে ভোট।
আরও পড়ুন: