লখনউ, 5 মার্চ: শিব্রাম চক্রবর্তী বা সুকুমার রায়ের পালোয়ান ষষ্ঠীচরণ থাকলে কী হত বলা যায় না ! হোলির আগে মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য অভিনব আয়োজন করেছিল উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের এক জনপ্রিয় মিষ্টান্ন বিক্রেতা ৷ বিনে পয়সায় মিষ্টি খেতে হবে প্রতিযোগীদের ৷ হ্যাঁ, কত মিষ্টি সাবাড় করতে পারেন ? আর কত তাড়াতাড়ি ? জিভ রেডি তো ? মিষ্টির গন্ধে মন মাতলেও জিহ্বাটি কি সত্যিই মিষ্টিখোর ? আসুন দেখি, তার প্রমাণ দিন ? খানিকটা এমনই হাবভাব ধরা পড়ল গোগ্রাসে মিষ্টি শেষের প্রতিযোগিতায় (Lucknow Sweet Shop organised sweet eating competition ahead of Holi) ৷
খাদ্যরসিকদের মন আর জিভের পরীক্ষা নিতে কী এমন মিষ্টি বানিয়েছিলেন দোকানদার ? রাবড়িচূর্ণের পোকা শিবরাম চক্কোত্তি বেঁচে থাকলে অথবা গণ্ডা দশেক মণ্ডা খাওয়া ষষ্ঠীচরণ থাকলে যোগীরাজ্য থেকে এই ট্রফি নির্ঘাত বাংলায় আসত ৷ কিন্তু তাঁরা নেই যখন...৷ যাইহোক, আসা যাক উত্তরপ্রদেশের 'সেই' মিষ্টির কথায় যা খেতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেলেন প্রতিযোগীরা ।
সিনেমা নয়, কিন্তু হিরোর চেহারার সঙ্গে সঙ্গত রেখে মিষ্টির নাম 'বাহুবলী' ৷ যোগীরাজ্যে এই 'বাহুবলী গুজিয়া' খেয়ে শেষ করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব ৷ তবে বাঙালিরা গুজিয়া বলতে যা বোঝে, তার উপকরণ, স্বাদ, চেহারা- কোনও কিছুর সঙ্গে এর মিল নেই ৷ বরং এটা অনেকটা বাঙালির ক্ষীরের চপের মতো ভাবা যেতে পারে ৷ বাইরে ময়দার আস্তরণ আর ভিতরে ক্ষীর, পেস্তা, আলমন্ড, চিনি- এই সব দিয়ে তৈরি পুর ঠাসা ৷ 'বাহুবলী গুজিয়া'র ওজন 1.7 থেকে 2 কিলো ৷ সাইজ 14 ইঞ্চি লম্বা ৷