অযোধ্যা, 30 ডিসেম্বর: অযোধ্যায় এক দিনের সফরে শনিবার পুনর্ণিমিত অযোধ্যা ধাম রেলওয়ে স্টেশন এবং মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এর মধ্যেই হঠাৎ উজ্জ্বলা প্রকল্পের একজন সুবিধাভোগীর বাড়িতে হাজির হলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ শুধু তাই নয়, সেই বাড়িতে গিয়ে চা-ও পান করলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা গত 1 মে 2016 সালে চালু করা হয়েছিল ৷ যার মূল উদ্দেশ্য ছিল, দারিদ্র্য সীমার নীচে (বিপিএল) পরিবারের মহিলাদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত এলপিজি সংযোগ দেওয়া ৷
এদিন অযোধ্যার মীরা মাঝির বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ আর তাঁর আচমকা আগমনে উচ্ছ্বসিত মীরা এবং তাঁর পরিবারের সকলেই ৷ জানা গিয়েছে, তিনি উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের 10 কোটি তম ব্যক্তি ছিলেন। রামনগরীর দলিত কলোনিতে স্বামী সুরজ মাঝি, শ্বশুর ধনিরাম মাঝি ও শাশুড়ির সঙ্গে থাকেন তিনি। পিএমও সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর মীরার বাড়িতে যাওয়া তাঁর নির্ধারিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল না। এদিন সফরের মাঝে দেখা যায় হঠাৎই তাঁর কনভয় মাঝি সম্প্রদায়ের এলাকায় পৌঁছে যায় ৷ সেখানে বিপুল সংখ্যক লোক প্রধানমন্ত্রীকে মালা, ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রীকে এখানে বাসিন্দাদের সঙ্গেই কথা বলার পাশাপাশি বাচ্চাদের সঙ্গেও অনেকটা সময় কাটাতে দেখা যায় ৷
এলাকাটি মূলত মাঝি এবং নিষাদ সম্প্রদায়ের বসবাস বলে জানা গিয়েছে ৷ যারা বেশিরভাগই সরযূ নদীতে মাছ ধরা এবং নৌকায় কাজ করেন বলেও জানা গিয়েছে ৷ মাঝি পরিবার তাদের বাড়িতে আচমকা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী এদিন মীরার শাশুড়িাকে 'মাতা জি' বলে সম্বোধন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নেন।
এই সবের মধ্যেই দুই ছাত্র এগিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রীকে ভগবান রামের মন্দিরের একটি চিত্র উপহার দেয় এদিন। ছাত্রদের সেই শিল্পকর্মে মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাতে স্বাক্ষর করে লিখেছেন 'খুব ভালো'। এর পরে, প্রধানমন্ত্রীর কনভয় অযোধ্যার মহর্ষি বাল্মিকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।