গুয়াহাটি, 21 অগস্ট: নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দার (Al-Qaeda) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ (Assam Police) ৷ অভিযুক্তদের অসমের গোয়ালপাড়া (Goalpara) থেকে পাকড়াও করা হয়েছে ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, ধৃত দুই ব্যক্তি 'আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট' (Al-Qaeda in the Indian Subcontinent) বা 'আকিস' (AQIS) এবং 'আনসারউল্লাহ বাংলা টিম' (Ansarullah Bangla Team) বা এবিটি (ABT)-এর সক্রিয় সদস্য ৷ সূত্রের খবর, টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরই এই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম আব্দুস সুভান (Abdus Subhan) ৷ তিনি মরনোই থানা (Mornoi Police Station) এলাকার অন্তর্গত তিনকুনিয়া শান্তিপুর মসজিদের (Tinkunia Shantipur Mosque) ইমাম ! পুলিশের হাতে ধরা পড়া অন্য ব্যক্তির নাম জালালউদ্দিন শেখ (Jalaluddin Sheikh) ৷ সে ইমামগিরি করে গোয়ালপাড়ার মাটিয়া থানা এলাকার (Matia Police Station) তিলাপাড়া নতুন মসজিদে (Tilapara Natun Mosque) !
আরও পড়ুন:জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের 14 দিনের হেফাজতে পেল এসটিএফ
গোয়ালপাড়ার পুলিশ সুপার ভিভি রাকেশ রেড্ডি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "এর আগে আমরা আব্বাস আলি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিলাম ৷ তাঁর বিরুদ্ধেও জিহাদি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ৷ ওই ব্যক্তিকে জেরা করেই গত জুলাই মাসে আমরা কিছু তথ্য হাতে পাই ৷ অসমে আকিস এবং এবিটি-র বরপেটা ও মোরিগাঁও মডিউলের সঙ্গে ধৃতদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি ৷" রাকেশ জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা যে শুধুমাত্র জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাই নয়, বাংলাদেশি জঙ্গিদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্তও করে দিত ৷
ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি-সহ অন্য়ান্য আপত্তিকর জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, "আমরা ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছি ৷ দুই জায়গা থেকেই আল-কায়দার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বেশ কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে ৷ জিহাদি পোস্টার, পুস্তিকা, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড এবং পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷"
ধৃতদের কাজের ধরন সম্পর্কে তথ্য পেশ করতে গিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, "পলাতক বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদীদের অসমের গোয়ালপাড়ায় আশ্রয় দিত এই দুই ব্যক্তি ৷ 2019 সালে মাটিয়া থানা এলাকার সুন্দরপুর তিলাপাড়া মাদ্রাসায় এরা একটি ধর্মীয় সভার আয়োজন করেছিল ৷ সেখানে যারা বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, তাদের অনেকেই বাংলাদেশের পলাতক সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সঙ্গে আকিসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে ৷"