পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Shorts Controversy : শর্টস পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে, পর্দায় ছাত্রীর পা ঢেকে পরীক্ষা দেওয়ালেন পরীক্ষক

পরীক্ষাকেন্দ্রে শর্টস পরে পৌঁছনোয় বিপাকে ছাত্রী ৷ পর্দায় পা ঢেকে পরীক্ষা দেওয়ার নিদান পরীক্ষকের ৷ অসমের তেজপুরের ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ৷

Assam girl prevented from entering exam hall for wearing shorts
Shorts Controversy : শর্টস পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে, পর্দায় ছাত্রীর পা ঢেকে পরীক্ষা দেওয়ালেন পরীক্ষক

By

Published : Sep 17, 2021, 2:25 PM IST

গুয়াহাটি, 17 সেপ্টেম্বর : পরীক্ষার হলে বসে অন্যদের পা দেখানো যাবে না ৷ তাই শর্টস পরে আসা ছাত্রীর খোলা পা পর্দা দিয়ে ঢাকার নিদান দিলেন পরীক্ষক ! আর পায়ে পর্দা জড়ানো অবস্থাতেই পরীক্ষা দিতে হল 19 বছরের ওই তরুণীকে ! অসমের তেজপুরের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে নানা মহলে ৷

আরও পড়ুন :‘দৃষ্টিকটূ’ পোশাকে প্রবেশ নিষিদ্ধ, পৌরসভার নোটিসে বিতর্ক রাজপুর-সোনারপুরে

ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার ৷ জোড়হাটের অসম কৃষি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে (AAU) প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন জুবিলি তামুলি (Jublee Tamuli) নামে ওই তরুণী ৷ সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বিশ্বনাথ চারিয়ালি শহরে ৷ পরীক্ষার দিন সকালে প্রায় 70 কিলোমিটার উজিয়ে বাবার সঙ্গে তেজপুর পৌঁছন তিনি ৷ জুবিলি জানিয়েছেন, তাঁর পরীক্ষার সিট পড়েছিল গিরিজানন্দ চৌধুরী ইনস্টিটিউট ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সে (GIPS) ৷ পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে বা ভিতরে ঢুকতে কোনও সমস্যাই হয়নি জুবিলির ৷ সমস্যা শুরু হয় হলে ঢোকার পর ৷

সংশ্লিষ্ট পরীক্ষক জুবিলিকে পরীক্ষা হলে ঢুকতেই দেননি ৷ তিনি সাফ জানিয়ে দেন, শর্টস পরে তিনি কাউকে পরীক্ষা দিতে দেবেন না ৷ জুবিলির বক্তব্য, নির্দিষ্ট পোশাক পরেই পরীক্ষা দিতে হবে, এমন কখনও বলা হয়নি ৷ তাঁর অ্য়াডমিট কার্ডেও কোনও ড্রেস কোড লেখা ছিল না ৷ এর আগে একই পোশাক পরে নিট পরীক্ষাও দিয়েছিলেন জুবিলি ৷ সেখানে এমন কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি তাঁর ৷ অবশেষে পরীক্ষা নিয়ামক জানান, যদি জুবিলি একটি ফুল প্য়ান্ট জোগাড় করতে পারেন, তাহলে তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে ৷ একথা শুনেই দোকানে ছোটেন জুবিলির বাবা ৷

জুবিলির বাবা বাবুল তামুলি (Babul Tamuli) জানিয়েছেন, মেয়ের জন্য প্যান্ট কিনতে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এক পরিচিতের দোকানে যেতে হয় তাঁকে ৷ এদিকে, জুবিলিকে বসিয়ে রাখা হয় বাইরে ৷ তিনি জানান, সেই সময় প্রবল মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি ৷ কারণ, পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পারায় তাঁর সময় নষ্ট হচ্ছিল ৷ ইতিমধ্যে জুবিলির বাবা প্যান্ট কিনে আনলে তাঁকে জানানো হয়, সমস্যা মিটে গিয়েছে ৷ জুবিলির পা ঢাকার জন্য তাঁকে একটি পর্দা দেওয়া হয়েছে !

গোটা ঘটনায় বিপর্যস্ত ওই পরীক্ষার্থী ৷ তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে পরীক্ষক বলেছেন, তাঁর যদি ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞানটুকুই না থাকে, তাহলে জীবনে সাফল্য পাবেন কীভাবে ? এমন মানসিকতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই তরুণী ৷ তিনি বলেন, অতিমারির আবহেও আমাদের কারও শরীরের উত্তাপ মাপা হয়নি ৷ সকলে মাস্ক পরে পরীক্ষার হলে ঢুকছেন কিনা, তা নিয়েও মাথাব্যথা ছিল না কর্তৃপক্ষের ৷ অথচ পরীক্ষার্থী কী পোশাক পরে এসেছেন, সেটাকেই প্রধান বিবেচ্য হিসাবে ধরা হয়েছে ৷’’ জীবনে কখনও এত অপমানিত হননি বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই তরুণী ৷

আরও পড়ুন :Taslima Nasrin : পোশাক মন্তব্যে কেন ইমরানকে একহাত, তসলিমার কথা শুনল ইটিভি ভারত

ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন গিরিজানন্দ চৌধুরী ইনস্টিটিউট ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যক্ষ ড. আবদুল বাকু আহমেদ ৷ তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি কলেজে ছিলাম না ৷ তবে আমি সবটাই শুনেছি ৷ এই পরীক্ষার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই ৷ আমাদের কলেজকে শুধুমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ৷ যে পরীক্ষককে নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, তিনিও বাইরের ৷ আমাদের কলেজে শর্টস পরা নিয়ে কোনও নিয়ম নেই ৷ তবে পরীক্ষাকেন্দ্রের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী থাকে ৷ সেগুলো মেনে চলা উচিত ৷ অভিভাবকরা সেটা আরও ভাল জানবেন ৷’’

ABOUT THE AUTHOR

...view details