নয়াদিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় রাজস্থান তথা কংগ্রেসের অন্দরমহল ৷ বুধবার সকালেই নয়াদিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন অশোক গেহলত ৷ ঠিক 24 ঘণ্টা পরেই উলটো সুর গেহলতের গলায় ৷ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকেই নাম প্রত্যাহার করে নিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ৷ একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসের অন্তবর্তী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধির কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি ৷
প্রসঙ্গত, 2019 সালে ভোটে ভরাডুবির পর রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন ৷ তার পর আর তিনি ওই পদে বসতে আগ্রহী নন ৷ প্রায় তিন বছর টালবাহানার পর অবশেষে আগামী অক্টোবরে হতে চলেছে কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন (Congress President Election) ৷
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) চাইছেন গান্ধি পরিবারের বাইরের কেউ এবার দায়িত্ব নিন ৷ সেক্ষেত্রে তাঁর আস্থাভাজন কাউকে ওই পদে বসাতে আগ্রহী তিনি ৷ সেই কারণে শুরুতেই সভাপতিত্বের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন অশোক গেহলত (Ashok Gehlot) ৷ কিন্তু সভাপতি হতে গেলে তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে ৷ সেই সম্ভাবনা তৈরি হতেই রাজস্থান কংগ্রেসে ডামাডোল শুরু হয়েছে ৷ সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার শচীন পাইলট (Sachin Pilot) ৷ কিন্তু গেহলত চাইছেন তাঁর অনুগামীদের মধ্যে কাউকে বেছে নেওয়া হোক রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৷ এই নিয়ে তাঁর অনুগামীরা পদত্যাগের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: অ্যান্টনির সঙ্গে বৈঠকে সোনিয়া, সভাপতিত্বের দৌড়ে দিগ্বিজয় সিং
তারপরেই এদিন মরুরাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, রাজস্থানের টালমাটাল পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সভাপতি পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় ৷ গেহলত বলেন, "আমি রাহুলকে (গান্ধি) সভাপতি পদে লড়তে অনুরোধ করেছিলাম ৷ ও না-লড়ায় আমি পদপ্রার্থী হই ৷ কিন্তু এখন এই পরিস্থিতিতে (রাজস্থানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি) আমার পক্ষে আর নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব নয় ৷" এতই সঙ্গে তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন কি না, তা নির্ণয় করার দায়িত্ব সোনিয়া গান্ধির কাঁধেই দিয়েছেন তিনি ৷