হায়দরাবাদ, 28 সেপ্টেম্বর: পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে নিষিদ্ধ (PFI Banned) ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Owaisi on PFI Ban)৷ একে কঠোর সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)৷
টুইটে তিনি লিখেছেন, "যদিও আমি সবসময় পিএফআই-এর পদ্ধতির বিরোধিতা করেছি এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সমর্থন করেছি, তবুও পিএফআই-এর উপর এই নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করা যায় না । এই ধরনের একটি কঠোর নিষেধাজ্ঞা বিপজ্জনক ৷ কারণ যে মুসলমান তাঁর মনের কথা বলতে চায় এটা তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা । ভারতের নির্বাচনী স্বৈরাচার যেভাবে ফ্যাসিবাদের দিকে যাচ্ছে, তাতে দেখা যাবে হাতে পিএফআই-এর পত্রিকা থাকলেই প্রত্যেক মুসলিম যুবককে এখন ভারতের কালো আইন ইউএপিএ-এর অধীনে গ্রেফতার করা হবে ।"
এদিন কংগ্রেসকেও একহাত নিয়ে ওয়েইসি বলেন, "আদালত থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার আগে মুসলমানদের কয়েক দশক জেলে কাটাতে হয়েছে । আমি ইউএপিএ-এর বিরোধিতা করেছি এবং সর্বদা ইউএপিএ-এর অধীনে সমস্ত কাজকর্মের বিরোধিতা করব । এটি সংবিধানের মূল কাঠামো স্বাধীনতার নীতির বিরোধী ৷ আমাদের মনে রাখা উচিত যে, কংগ্রেস ইউএপিএকে কঠোর করার জন্য সংশোধন করেছিল এবং যখন বিজেপি এটিকে আরও কঠোর করার জন্য আইন সংশোধন করে তখন কংগ্রেস এটিকে সমর্থন করেছিল ।"
আরও পড়ুন:দেশ-বিদেশ থেকে টাকা আসত পিএফআইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে, জানাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
খাজা আজমেরি বোমা বিস্ফোরণের দোষীরা যে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তাদের নিষিদ্ধ না করে কেন পিএফআইকে নিষিদ্ধ করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন এআইএমআইএম প্রধান ৷ তিনি বলেছেন, "এই মামলাটি কাপানের টাইমলাইন অনুসরণ করবে, যেখানে কোনও কর্মী বা সাংবাদিককে যেমন খুশি গ্রেফতার করা হয় এবং জামিন পেতেও 2 বছর সময় লাগে ৷ কীভাবে পিএফআই নিষিদ্ধ হয়ে গেল ? অথচ খাজা আজমেরি বোমা বিস্ফোরণের দোষী ব্যক্তিদের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলি নিষিদ্ধ হল না ? কেন সরকার ডানপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করেনি ?"