গুয়াহাটি, 11 জুন : এভাবে জন বিস্ফোরণ হতে থাকলে একদিন কামাখ্যা মন্দির রক্ষা করা যাবে না । সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা । তিনি বলেন, অনধিকার জমি দখল আটকানো যাবে যদি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমরা পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে ।
দরিদ্রতা ও জমি দখলের মতো সামাজিক অবনতির মূল কারণ জনবিস্ফোরণ । অসমের ক্ষেত্রে, এর দায় এসে পড়ে অনুপ্রবেশকারীর উপর । অসমের মধ্য ও দক্ষিণ অংশে বসবাসকারী বাংলাভাষী মুসলিমদের মনে করা হয় তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে । অসমের 126টি বিধানসভা আসনের 35টি আসনের জেতা হারা নির্ভর করে 31 শতাংশ এই অনুপ্রবেশকারী মুসলিম ভোটে । এবারের নির্বাচনে বিজেপির ইস্তাহারের মূল বক্তব্যই ছিল অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে রাজ্যকে বাঁচানো ।
একমাস হল হিমন্ত বিশ্বশর্মার মুখ্যমন্ত্রিত্ব । সাংবাদিক বৈঠকে অনুপ্রবেশকারী দমনের বিষয়ে প্রশ্নোত্তর চলাকালীন তিনি বলেন,"যদি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তবে বিভিন্ন ধরনের .সামাজিক সমস্যা সমাধান করা যাবে । অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের কাছে আমার আবেদন তারা যাতে পরিবার পরিকল্পনা করে ।" তিনি বলেন,"বৈষ্ণব মঠের অন্তর্গত বন, মন্দির জনসাধারণের দখলে যেতে দিতে পারি না । তবে জনবৃদ্ধির চাপটাও বুঝি । তারা থাকবে কোথায় ?"
আরও পড়ুন : গরু আমাদের মা, বন্ধ করতে হবে গোহত্যা : হিমন্ত বিশ্বশর্মা
মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এআইইউডিএফ-এর সাধারণ সম্পাদক এ মনকাচরের বিধায়ক আনিমুল ইসলাম । তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করছেন খুব ভাল কথা, এতে আপত্তি করার প্রশ্ন ওঠে না । কিন্তু এটা দুর্ভাগ্য যে মুখ্যমন্ত্রী দারিদ্রতা ও গরিবিয়ানার উপর নজর না দিয়ে দায় করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ।