শ্রীনগর, 18 সেপ্টেম্বর: অনন্তনাগে এখনও সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টর চলছে ৷ সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার গাদোল এলাকার (কোকারনাগ) জঙ্গলের এই এনকাউন্টার ষষ্ঠ দিনে পড়ল ৷ গত 13 সেপ্টেম্বর এই এনকাউন্টার শুরু হয় ৷ প্রথমদিনই ভারতীয় সেনার এক কর্নেল মনপ্রীত সিং ও এক মেজর আশিস ধৌনচক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন ডিএসপি হুমায়ুন মুজামিল ভাট শহিদ হন ৷ তবে এখনও পর্যন্ত কতজন জঙ্গি মারা গিয়েছেন বা আহত হয়েছেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি ৷
যদিও নিরাপত্তা বাহিনী ঘন জঙ্গল এলাকায় নজরদারির জন্য ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে ৷ এভাবে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে ৷ কিন্তু কোনওভাবেই সব জঙ্গিকে চিহ্নিত করা যায়নি এখনও পর্যন্ত ৷ ফলে সংঘর্ষ থামছে না ৷ জঙ্গলের মধ্যে মর্টার শেলও ছোড়া হচ্ছে ৷
প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গলে বেশ কয়েকটি গুহার মতো আস্তানা রয়েছে ৷ সেখানেই জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ৷ সেই কারণে ওই গুহাগুলিকে খোঁজা হচ্ছে ড্রোন দিয়ে ৷ ড্রোনের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি গুহা লক্ষ্য করে গত শুক্রবার সেনাবাহিনী মর্টার ছুঁড়েছিল ৷ তার পর সেখান থেকে এক জঙ্গিকে পালিয়ে যাওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে ৷ কিন্তু জঙ্গলের মধ্যে তার আর সন্ধান মেলেনি ৷ কিন্তু জঙ্গিরা যাতে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে, সেই কারণে পাশের পোশ ক্রিরি এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন:অনন্তনাগের জঙ্গলে টানা পঞ্চম দিনেও অব্যাহত সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই
এই এনকাউন্টার 2008 সালের পর থেকে তৃতীয় দীর্ঘতম অপারেশন হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে ৷ প্রথম দীর্ঘতম এনকাউন্টারটি হয় 2021 সালের অক্টোবরে ৷ সেই সময় 11 অক্টোবর অভিযান শুরু হয় ৷ তা হয়েছিল 30 অক্টোবর ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের জম্মু প্রদেশের পুঞ্চ জেলার ডেরা কি গলি ও ভিম্বার গলির মধ্যে জঙ্গলে টানা 19 দিন ধরে অভিযান চলে ৷ সেই অভিযানে দুই জুনিয়র কমিশনার অফিসার-সহ নয়জন সেনা জওয়ান শহিদ হন ।