তুমাকুরু, 27 নভেম্বর: প্রতিবেশীদের দ্বারা হয়রানির শিকার, এই অভিযোগ করে আত্মহত্যা করলেন একই পরিবারের পাঁচজন সদস্য ৷ রবিবার এমনই ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকের তুমাকুরুর সদাশিবনগরে ৷ আত্মঘাতী গরিব সাব (32), স্ত্রী সুমাইয়া (30), তাঁদের মেয়ে হাজিরা, দুই ছেলে মহম্মদ সুবান ও মহম্মদ মুনির ৷
পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে গরিব সাব তাঁর প্রপিতামহকে (বাবার ঠাকুমা) একটি নোটে তাঁদের এই আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে লিখেছিলেন ৷ সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর ঋণ নেওয়ার কথা ৷ এর জন্য প্রতিবেশীরা যে তাঁর পরিবারকে হয়রানি করত তাও উল্লেখ করেছিলেন সেই নোটে ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তির দাবিও জানান ৷ নোটে লিখেছিলেন,"আমরা প্রতিবেশীদের হয়রানির জন্য আমাদের জীবন হারাচ্ছি ৷"
সাব তাঁর ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য তুমাকুরুতে থাকতেন ৷ তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম-সহ সবকিছু মোবাইল ফোনে লিখে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় তুমাকুরের এসপি অশোক কেভি বলেন,"আমরা জানতে পেরেছি যে একই পরিবারের 5 জন আত্মহত্যা করেছে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ দুটি দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ৷ তিনটি বাচ্চার দেহ মিলেছে খাটে ৷ মৃতরা শিরা তালুকের লাক্কানাহাল্লির বাসিন্দা ৷ মৃত্যুর আগে গরিব সাব একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন ৷ আত্মীয়দের কাছে একটি ভিডিয়ো বার্তাও পাঠিয়েছেন ৷ তাতে কী কী তথ্য রয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখব ৷ সেই ভিডিয়ো বার্তা ও অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব ৷"
ভিডিয়ো বার্তায় বলা হয়েছে, "আমাদের বাড়ির নিচে থাকা কালান্দরের নেতৃত্বে প্রতিবেশীরা হয়রানি করেছে ৷ এই আত্মহত্যার জন্য তারাই দায়ী ৷ আমাদের দেহের ময়নাতদন্ত করবেন না ৷"
আত্মহত্যা কোনও সমাধান নয়