চেন্নাই, 25 মে:কর্ণাটকে নন্দিনী বনাম আমুল বিতর্কের পর, গুজরাতে দুধ সংস্থা তামিলনাড়ুর বেশ কয়েকটি জেলায় চিলিং স্টেশন স্থাপনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে ৷ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিন এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে তাঁকে চিঠি লিখেছেন ৷ গুজরাতের এই দুধের কোঅপারেটিভের পোর্টফোলিয়ো হোল্ডার অমিত শাহ ৷ তামিলনাড়ু রাজ্য-সমর্থিত দুধ উৎপাদনকারী ইউনিয়নের কৃষ্ণগিরি, ধর্মপুরী, ভেলোর, রানিপেট, তিরুপাথুর, কাঞ্চিপুরম এবং তিরুভাল্লুর জেলায় যে দুধের শেড রয়েছে, তার থেকে দুধ সংগ্রহ করা বন্ধ করতে আমুলের উপর লাগাম টানার জন্য শাহের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে ৷
এ বিষয়ে কংগ্রেসের মিডিয়া ইনচার্জ জয়রাম রমেশ টুইটে বলেছেন, "প্রথমে নন্দিনী । এখন আভিন । এটি সবই গেমপ্ল্যানের অংশ ৷" রাজীব বোস নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী এ বিষয়ে লিখেছেন, "আমুল এই শাসনব্যবস্থার নতুন 'ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি'। ভারতের মধ্যে 'ঔপনিবেশিকতা' (গৈরিকীকরণ) এর নতুন হাতিয়ার ৷"
আমুল ক্রয় করা ও কমিশনের জন্য 36 টাকা খরচ করছে ৷ কিন্তু তারা প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করে 56 টাকায়, যেখানে আভিন এক লিটার দুধ বিক্রি করে 48 টাকায় ৷ আমুল তামিলনাড়ুর থেকে কেনা দুধ, অন্য রাজ্যে বিক্রি করতে পারে ৷ যার ফলে তামিলনাড়ুতে দুধের ঘাটতি হতে পারে ৷ সেরকম হলে গুরুতর সমস্যা হবে ৷ আরেক টুইটার ব্যবহারকারী তাঁর টুইটে এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন ৷
তামিলনাড়ুতে আমুলের পদচিহ্ন সম্প্রসারণ:স্তালিন চিঠিতে লিখেছেন যে, তিনি জানতে পেরেছেন কাইরা জেলা সমবায় দুগ্ধ উৎপাদনকারী ইউনিয়ন (আমুল) তামিলনাড়ুতে তার পদচিহ্ন বিস্তৃত করছে । কৃষ্ণগিরি জেলায় চিলিং সেন্টার এবং একটি প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন করতে আমুল তাদের মাল্টি-স্টেট কো-অপারেটিভ লাইসেন্স ব্যবহার করেছে এবং রাজ্যের কৃষ্ণগিরি, ধর্মপুরী, ভেলোর, রানিপেট, তিরুপাথুর, কাঞ্চিপুরম ও তিরুভাল্লুর জেলার আশেপাশে এফপিও এবং এসএইচজি-এর মাধ্যমে দুধ সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছে ।