খড়গপুর, 31 ডিসেম্বর: 24 ঘণ্টা আগেই নতুন পথ চলা শুরু করেছে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ৷ মালদা-এসএমভিটি বেঙ্গালুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হয়েছে শনিবার ৷ অমৃত ভারতের প্রথম সফরে সওয়ারকারীদের মধ্যে ছিলেন এক সাধু, এক রোগী ও কিছু পরিযায়ী শ্রমিক ৷
দিব্যনাথ নামে ওই সাধু কামাখ্যা যাচ্ছিলেন ৷ তিনি বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনটি দেখে পুরী জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে চড়েন । তাঁর কথায়, "আমি বর্ধমানে ছিলাম ৷ একটি ট্রেনে গুয়াহাটি যাচ্ছিলাম কামাখ্যা মন্দির দেখার জন্য ৷ কিন্তু এই নতুন ট্রেনটিকে দক্ষিণ দিকে যেতে দেখে আমি তাতে চড়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দির দেখার সিদ্ধান্ত নিই ৷"
মোটর মেকানিক অমিত বৈরাগী স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন । অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে চড়ার অনুমতি পেয়ে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন ৷ কারণ, এত অল্প নোটিশে রিজার্ভেশন পাওয়া কঠিন ছিল । তাঁর কথায়, "আমার স্ত্রীকে নিয়ে বেঙ্গালুরু যাচ্ছি ডাক্তার দেখাতে ৷ আমাদের শীঘ্রই হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে ৷ আশা করি অমৃত ভারত খুব দ্রুত পৌঁছে দেবে বেঙ্গালুরু ৷"
তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র শুক্রবার ট্রেনের উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে পারেন তাঁরা ৷ বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশন থেকে ভ্রমণের জন্য ঠিক সময়ে একটি পাস পেয়েছিলেন । অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুতে একটি নির্মাণ ফার্মের শ্রমিক টনি মণ্ডল-সহ আরও 20 জন মালদা থেকে কর্ণাটকের রাজধানীতে ভ্রমণের জন্য বিনামূল্যে পাস পেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে ।
তিন বছর বেঙ্গালুরুতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করার পর, টনি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরে বাড়ি ফিরেছিলেন । তিনি বলেন, "ট্রেনটির উদ্বোধনের কথা জানতে পেরে আমরা মালদা স্টেশনে আসি ৷ এতে ভ্রমণ করার জন্য আমাদের বিনামূল্যে পাস দেওয়া হয়েছিল ৷"
রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রেনের উদ্বোধনী যাত্রায় টিকিট বিক্রি হয় না । ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছতে প্রায় 42 ঘণ্টা লাগবে ৷ এটি 7 জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে । পরিযায়ী শ্রমিক, যারা প্রতি ছয় মাস বা তারও বেশি সময় পর বাড়ি এবং কর্মস্থলের মধ্যে যাতায়াত করেন তাঁরা অমৃত ভারতে ভ্রমণ করাকে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা বলছেন ৷ তাঁদের দাবি, অন্য কিছু ট্রেনের সাধারণ বগিতে ভ্রমণ করা যেন দুঃস্বপ্ন ৷ এই ট্রেনের মতো সুবিধা ওগুলিতে নেই ৷