আগরতলা,16 ফেব্রুয়ারি: শুরু হল ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। আগামী 5 বছর ত্রিপুরার মসনদে কে থাকবে তা বেছে নেবেন রাজ্যের 28 লাখ 14 হাজার ভোটার । কড়া নিরাপত্তায় সকাল 7টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট (Voting began at 7 am this morning)। চলবে বিকেল 4টে পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে 3 হাজার 337টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে । কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে । প্রতিটি বুথে সশ্রস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করতে 400 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে রাজ্যে। এর মধ্যে সিআরপিএফ, বিএসএফ থেকে শুরু করে সিআইএসএফের জওয়ানরা রয়েছেন । পাশাপাশি ত্রিপুরা পুলিশ এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে গুজরাত থেকে শুরু করে দিল্লি এবং মিজোরাম থেকেও পুলিশ কর্মীদের নিয়ে আসা হয়েছে ভোটের কাজে। বুথের দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাই।
সবমিলিয়ে ত্রিপুরার নির্বাচন ঘিরে এবার কার্যত বেনজির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতীতে বেশ কয়েকবার নির্বাচনী সন্ত্রাস দেখেছে ত্রিপুরা । সম্প্রতি হওয়া পৌরসভা নির্বাচনে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে বেলাগাম সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছিল বিরোধী দলগুলি । তাছাড়া গতবছর আগরতলা বিধানসভার উপনির্বাচন ঘিরেও পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল । কয়েক বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। দেখা গিয়েছিল পঞ্চায়েতের সিংহভাগ আসন ভোট হওয়ার আগেই জিতে নিয়েছিল বিজেপি । বিরোধীদের দাবি, সন্ত্রাসের জেরে তারা প্রার্থীই দিতে পারেনি । এমনই পরিস্থিতিতে এবারে ভোট ঘিরে কার্যত বেনজির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে । সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও গোলমালের খবরও পাওয়া যায়নি । বেলা বাড়ার পর পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই দেখার ।
শুধু নিরাপত্তার দিক থেকে নয়, ত্রিপুরার ভোট আরও বেশ কয়েকটি কারণে বেনজির এবার । এবারই প্রথম প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল । তাছাড়া দশকের পর দশক একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করা বাম ও কংগ্রেস জোট বেঁধেছে । লড়াইয়ে আছে ত্রিপা মোথাও। 5 বছর আগে রাজনৈতিক মহলকে কার্যত অবাক করে ত্রিপুরায় উড়েছিল গেরুয়া পতাকা । এবার কী হবে তা জানা যাবে 2 মার্চ ।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ত্রিমুখী লড়াইয়ে বিজেপি, বাম-কংগ্রেস-তিপ্রা মোথা; তৃণমূলের সম্ভবনা কেমন ?