পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

করোনা আক্রান্ত শিশুর মৃত্য়ুতে গাফিলতির অভিযোগ, কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল

সরকারি হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত শিশুর মৃত্য়ু ৷ পরিবারের অভিযোগ, অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল দেড় বছরের সরিতার ৷ কিন্তু তারপরও তাকে ভর্তি করতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ এই দেরির কারণেই সরিতার প্রাণ যায় বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের ৷ বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ হাসপাতালের ঘটনা ৷

By

Published : Apr 28, 2021, 4:21 PM IST

Allegations of negligence in the death of a child infected with corona in Visakhapatnam
করোনা আক্রান্ত শিশুর মৃত্য়ুতে গাফিলতির অভিযোগ, কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল

বিশাখাপত্তনম, 28 এপ্রিল :এক ঘণ্টা প্রতীক্ষার পর করোনা আক্রান্ত শিশুকে ভর্তি নিল সরকারি হাসপাতাল ৷ আর, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রাণ গেল একরত্তির ৷ পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্য়ু হয়েছে শিশুটির ৷ মঙ্গলবার সন্ধেয় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ হাসপাতালে ৷

পরিবার সূত্রে খবর, দেড় বছরের সরিতার কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল ৷ অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাবা-মা ৷ তাঁরা জানিয়েছেন , শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে কষ্ট হচ্ছিল বাচ্চাটির ৷ কিন্তু বারবার অনুরোধের পরও তার দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ ফলে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে অ্য়াম্বুল্যান্সেই অপেক্ষা শুরু করেন বাবা-মা ৷ প্রায় এক ঘণ্টা পর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ কিন্তু ততক্ষণে আর চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না সরিতার ৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্য়ু হয় তার ৷

সরিতার মৃত্য়ুর খবর পাওয়ার পরই হাসপাতালে ছুটে যান আত্মীয়রা ৷ গোটা ঘটনা জানার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা ৷ তাঁদের সাফ কথা, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্যই প্রাণ খোয়াতে হয়েছে সরিতাকে ৷

আরও পড়ুন :করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ, তদন্তে পুলিশ

প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, অ্য়াম্বুল্যান্সে শুইয়ে রাখা হয়েছে সরিতাকে ৷ পাশে বসে আছেন তার বাবা ভীরা বাবু ৷ তিনিই একটি অ্য়াম্বু ব্য়াগের মাধ্যমে মেয়েকে অক্সিজেন দিচ্ছেন ৷ অন্যদিকে, দিশেহারা দশা সরিতার মায়ের ৷ সরিতার বাবা-মা জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সন্তানকে প্রথমে ভর্তিই করতে চায়নি ৷ বদলে তাঁদের 104 নম্বরে ফোন করতে বলা হয় ৷ কিন্তু বারবার ওই নম্বরে ফোন করেও কোনও সাড়া মেলেনি ৷

তবে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ সরিতার সঙ্গে যা হয়েছে, তা অতি বিরল ঘটনা বলেও দাবি করেছে তারা ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details