প্রয়াগরাজ (উত্তরপ্রদেশ), 1 সেপ্টেম্বর : বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court) গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার পরামর্শ দিয়েছে । আদালতে তরফে বলা হয়, গরুকে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয় । এই পশুর আলাদা বৈদিক, পৌরাণিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে ৷ পাশাপাশি সামাজিক উপযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে গরুকে জাতীয় প্রাণী হিসাবে ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করছে আদালত ।
আদালতের পরামর্শ, গরুকে জাতীয় পশুর মর্যাদা দিতে হবে এবং এর জন্য সংসদে বিল আনার প্রয়োজন রয়েছে । আরও বলা হয়েছে, গরুর পুজো হলেই দেশ সমৃদ্ধ হবে । ভারতে হিন্দুরা গরুকে 'মা' হিসাবে বিশ্বাস করে ৷ এই বিশ্বাসকে আঘাত করা মানে দেশকে দুর্বল করা ৷
আদালতের তরফে আরও বলা হয়েছে, গো-মাংস খাওয়া কারোর মৌলিক অধিকার নয় । জিভের স্বাদের জন্য কোনও প্রাণীর জীবন কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারোর নেই । তাই পশুহত্যার অনুমতি দেওয়া ঠিক নয় । এমনকি বৃদ্ধ, অসুস্থ গরুও কৃষিকাজে দরকারে লাগে । গরু দেশের কৃষির মেরুদণ্ড । এছাড়াও ভারত বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন । প্রত্যেক সম্প্রদায়ের পুজোর পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সবার চিন্তা একই । সবাই একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে । তাই যদি কোনও ব্যক্তি গো-হত্যা করে, তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে সে আবার সেই অপরাধ করবে ।
প্রসঙ্গত, এলাহাবাদ হাইকোর্ট এদিন জাভেদ নামে এক ব্যক্তির জামিন আবেদনের শুনানি করছিল । জাভেদের বিরুদ্ধে একটি গরুকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে । শুনানিতে আদালত বলেছে, 29টি রাজ্যের মধ্যে 24টিতে গো-হত্যা নিষিদ্ধ । একটি গরু তার জীবদ্দশায় 410 থেকে 440 জন মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ করে ৷ সেই জায়গায় একটি গরুর মাংস মাত্র 80 জনকে খাওয়ানো যায় । ইতিহাসে গো-হত্যা বন্ধের প্রচেষ্টার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিচারক জানান, মহারাজা রণজিৎ সিংহ গো-হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন । এদিন এই শুনানিতেই আদালত গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার পরামর্শ দেয় ৷
আরও পড়ুন : LPG Cylinder Price Hike : ফের রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, আজ থেকে সিলিন্ডারপিছু দাম 911 টাকা