নয়াদিল্লি, 28 অগস্ট: দিল্লিগামী ভিস্তারার বিমানে মাঝ আকাশে দু'বছরের শিশুকন্যার জীবন বাঁচালেন এইমসের চিকিৎসকেরা ৷ পাঁচজনের একটি চিকিৎসক দলের দৃষ্টান্ত স্থাপনের কথা সোমবার সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস তথা এইমস ৷
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ভিস্তারা এয়ারলাইন ফ্লাইট UK-814 বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী ফ্লাইটে সায়ানোটিক (হৃদযন্ত্রের রোগ) আক্রান্ত বছর দু'য়েকের একটি শিশুকন্যা অচেতন হয়ে পড়েছিল ৷ বিষয়টি নিয়ে ফোন পাওয়ার পরই এইমসের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে এবং পাঁচজন চিকিৎসকের একটি দল শিশুকন্যার অস্ত্রোপচার করে ৷
এইমসের পোস্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শিশুটির নাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ হাত-পাও আংশিক ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল ৷ স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিচ্ছিল না সে ৷ তা দেখার পরই দ্রুত সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) শুরু করা হয় ৷ সকলে তৎপর হয়ে দক্ষ টিমের সাহায্যে আইভি ক্যানুলা এবং অরোফ্যারিঞ্জিয়াল এয়ারওয়ে স্থাপন করা হয় ৷
বিবৃতিতে এইমস জানিয়েছে, রিটার্ন অফ স্পন্টেনিয়াস সার্কুলেশনে (ROSC) আনার জন্য চিকিৎসক দলের সকল সদস্য শিশুটিকে পর্যালোচনা করেন ৷ এরপর শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে পরিস্থিতি জটিল দিকে মোড় নেয় ৷ যাইহোক দক্ষ চিকিৎসকরা সফলভাবে শিশুটিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় ডিফিব্রিলেটর (AED) ব্যবহার করেন । নাগপুরে পৌঁছনোর পর শিশুটিকে স্থিতিশীল অবস্থায় একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় ৷ এইমসে যে পাঁচজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শিশুটির চিকিৎসা হয়েছিল তাঁরা হলেন সিনিয়র অ্যানাস্থেসিয়া নবদীপ কৌর, সিনিয়র কার্ডিয়াক রেডিয়োলজি দমনদীপ সিং, প্রাক্তন সিনিয়র এইমস রেডিয়োলজি ঋষভ জৈন, সিনিয়র ওবিজি ঐশিকা ও সিনিয়র কার্ডিয়াক রেডিয়োলজি অভিচালা তক্ষক ৷
নয়াদিল্লি এইমসের তরফে করা সোশাল মিডিয়া পোস্টে (এক্স) অনেকেই কমেন্ট করে নিজেদের মতামত জানিয়েছে ৷ কেউ বলেছেন,"অবিশ্বাস্য টিমওয়ার্ক ! ভিস্তারা ফ্লাইটে থাকা মেডিক্যাল টিমের দ্রুত সাড়া ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ সত্যিই একটি জীবন বাঁচিয়ে দিল ৷" আবার একজন প্রত্যক্ষদর্শী লিখেছেন, "ফ্লাইটে আমি সবটা দেখেছি ৷ আপনাদের দক্ষতা ও যত্নের জন্য কৃতজ্ঞ ৷"
আরও পড়ুন : মাঝ-আকাশে রক্তবমি, বিমানের জরুরি অবতরণেও বাঁচানো গেল না প্রৌঢ়কে