নয়াদিল্লি, 1 মে : করোনার প্রকোপে জেরবার গোটা ভারত ৷ রোজই লাফিয়ে বাড়ছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৷ বাড়ছে দৈনিক মৃত্য়ুর পরিসংখ্যানও ৷ সামনে আসছে একের পর এত মর্মান্তিক ঘটনা ৷ বৃহস্পতিবার তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল নয়ডার একটি সরকারি হাসপাতাল ৷ হাসপাতালের বাইরে গাড়িতেই প্রাণ গেল 35 বছরের এক তরুণীর ৷
পেশায় ইঞ্জিনিয়র জাগৃতি গুপ্তা (35) নয়ডায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷ দুই সন্তানকে নিয়ে জাগৃতির স্বামী থাকেন মধ্যপ্রদেশে ৷ সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন জাগৃতি ৷ বৃহস্পতিবার হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর ৷ জাগৃতিকে গাড়িতে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নয়ডার জিআইএমএস হাসপাতালে পৌঁছন তাঁর বাড়িওয়ালা ৷ জাগৃতির জন্য একটি শয্যার ব্যবস্থা করতে হাসপাতালে ভিতরে যান তিনি ৷ কিন্তু শয্যা মেলেনি ৷ মেলেনি অক্সিজেনও ৷ অসুস্থ জাগৃতি গাড়িতেই শুয়ে পড়েন ৷ সেই ভাবেই প্রায় তিনঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করেন তিনি ৷ এরপর হঠাৎই জাগৃতির বাড়িওয়ালা লক্ষ করেন তাঁর ভাড়াটিয়ার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে না ৷ আবার হাসপাতালের ভিতর ছুটে যান ওই ব্যক্তি ৷ তাঁর কথা শুনে ছুটে আসেন হাসপাতালের এক কর্মী ৷ জাগৃতিকে পরীক্ষা করে তিনি জানিয়ে দেন, মৃত্য়ু হয়েছে তরুণী ইঞ্জিনিয়রের ৷