শিবপুরী (মধ্যপ্রদেশ), 19 নভেম্বর: 17 নভেম্বর শিবপুরী জেলার চকরামপুর গ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় 3 জনের মৃত্যুর পরে জেসিবি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল অভিযুক্তদের 4টি ঘর । দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভের জেরে তৎপর হয় পুলিশ ও প্রশাসন ৷
শুক্রবার ভোটের পর কুশওয়াহা ও ভাদৌরিয়া পরিবারের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় । এই সংঘর্ষে শনিবার গোয়ালিয়রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ভাদৌরিয়া পরিবারের তিন জনের । কুশওয়াহা পক্ষের যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, যাঁর ছেলে গোয়ালিয়রে মারা গিয়েছেন । এই ঘটনায় শুক্রবার রাতেই পুলিশ উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও হত্যার চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে । কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পক্ষের তিনজনের মৃত্যু ও তার প্রতিবাদে নারোয়ার থানার সামনের সড়কে ক্ষত্রিয় সমাজের বিক্ষোভের পর শনিবার সন্ধ্যায় প্রশাসন তৎপর হয়ে অভিযুক্তদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে তছনছ করে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে ।
অভিযুক্তদের চারটি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন: শিবপুরী জেলার চকরামপুরে ভোট পরবর্তী হিংসায় ভাদৌরিয়া পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর পর ক্ষত্রিয় সম্প্রদায় ক্ষুব্ধ হয়ে নারোয়ার থানার সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় । তাদের দাবি, পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুক এবং যাঁরা এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিতে হবে । তিনজনের মৃত্যু ও ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের বিক্ষোভের পর প্রশাসন তৎপর হয়ে বুলডোজার দিয়ে চার অভিযুক্তের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয় ।
প্রায় দুই মাস আগে চকরামপুর গ্রামে একটি গণেশ বিসর্জনের মিছিলে ডিজে বাজছিল । সেই নিয়ে কুশওয়াহা ও ভাদৌরিয়া পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাঁধে । এই বিবাদে কুশওয়াহা পক্ষের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন । এরপর থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ আরও তীব্র হয় । জানা গিয়েছে যে, 17 নভেম্বর শুক্রবার ভোট শেষ হওয়ার পরে বিজেপির পোলিং এজেন্ট লক্ষ্মণ ভাদৌরিয়ার সঙ্গে কুশওয়াহার দলের ফের ঝামেলা হয় । এরপর ভাদৌরিয়া পরিবারের ছোড়া গুলিতে আহত হন কুশওয়াহা পরিবারের এক যুবক । এতে কুশওয়াহা অধ্যুষিত চকরামপুর গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ।