মহারাষ্ট্র, 26 এপ্রিল: তাঁর দুটি মেয়ে আছে ৷ এ বার একটা ছেলে চাই ৷ এই অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ৷ এই কাজে নাকি তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁর স্ত্রী ৷ অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বেগমপুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নিগৃহীতার পরিবার ৷
জানা গিয়েছে, ওই অধ্যাপকের নাম অশোক বন্দগার । 2022 সালের জুন মাস থেকে তিনি ওই ছাত্রীর যৌন হেনস্থা করছেন বলে অভিযোগ ৷ ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর মারাঠওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগের অধ্যাপক ওই ছাত্রীকে নাকি বলেছিলেন, তাঁর দুটি মেয়ে আছে ৷ এ বার তাঁর ছেলে চাই ৷ এই অছিলায় অধ্যাপক ওই ছাত্রীর যৌন নিগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ ৷
নিগৃহীতা যখন গোটা ঘটনা অধ্যাপকের স্ত্রীকে জানান, তখন তিনি নাকি বলেন যে তিনি সবকিছু মেনে নিয়েছেন । এই ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর রাতে বেগমপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপক ড. অশোক গুরাপ্পা বন্দগার এবং তাঁর স্ত্রী পল্লবী অশোক বন্দগারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ওই ছাত্রী একটি হস্টেল খুঁজছিলেন । সেই সময় হস্টেলের পরিবর্তে অভিযুক্ত অধ্যাপক তাঁকে পেয়িং গেস্ট হিসেবে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান । তাঁর স্ত্রীও তাঁকে মেয়ের মতো দেখাশোনা করার প্রতিশ্রুতি দেন । কিন্তু কয়েকদিন পর অর্থাৎ 2022 সালের জুন মাসে অধ্যাপক ছাত্রীটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ । নির্যাতিতা তাঁকে দূরে থাকতে বলেন । কিন্তু 2022 সালের জুলাই মাসে নিগৃহীতা যখন হলের মধ্যে ঘুমোচ্ছিলেন, তখন অধ্যাপক তাঁর যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ । এরপর পাঁচ থেকে ছয়বার জোরপূর্বক তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগে জানিয়েছেন ওই তরুণী ।
2023 সালের জানুয়ারিতে, নির্যাতিতা অধ্যাপকের স্ত্রীকে সব কথা খুলে বলেন । কিন্তু তিনি নাকি বলেন, তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গেই আছেন ৷ অধ্যাপকের স্ত্রী ওই ছাত্রীকে বলেন, "তুমি এখন বাড়ি থেকে বেরিয়ো না । বিয়ে হওয়ার পর, আমার দুই মেয়ে হয়েছে । আমাদের কোনও ছেলে নেই । আমরা তোমার কাছ থেকে একটি ছেলে চাই ।"
ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগও এনেছিলেন অভিযুক্ত দম্পতি । অধ্যাপকের স্ত্রীই বারবার ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর স্বামীকে বেডরুমে পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷ আরও অভিযোগ, একদিন দুজনেই নির্মমভাবে নির্যাতিতাকে মারধর করেন এবং অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে নির্যাতন করেন । এই খবর জেনে মেয়েটির পরিবার তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় । ছাত্রীটি গ্রামে গিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানতে পেরে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দেন । পরে মঙ্গলবার রাতে বেগমপুরা থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ।
আরও পড়ুন:প্রেমের ফাঁদ! নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে