হায়দরাবাদ, 30 জানুয়ারি: শেষ হয়েছে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রা ৷ কংগ্রেসের এই কর্মসূচি গত প্রায় সাড়ে চার মাসে পাড়ি দিয়েছে 4 হাজার কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ ৷ গত 7 সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে যে যাত্রার সূচনা হয়, সোমবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীনগরে শেষ হয়েছে ৷ রবিবার শ্রীনগরের ঐতিহাসিক লালচকে জাতীয় পতাকাও তুলেছেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) ৷ সোমবার তীব্র তুষারপাতের মধ্যেও এই কর্মসূচি শেষে তিনি সমাপ্তি ভাষণ দিয়েছেন ৷ বিঁধেছেন আরএসএস ও বিজেপি'কে ৷ মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারত জোড়ো যাত্রার উদ্দেশ্য (Rahul Gandhi on Bharat Jodo Yatra) ৷
রাহুল গান্ধি জানিয়েছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল দেশে একতা ও সৌহার্দ্যের বার্তা দেওয়া ৷ বিজেপি ও আরএসএস-এর দ্বেষ ও বিভাজনের বিরুদ্ধে ভালোবাসার বার্তা দিতেই যে তাঁর এই দীর্ঘ পদযাত্রা তা একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল ৷ রবিবার তিনি বলেছিলেন, এই ভারত জোড়ো যাত্রা বিজেপির বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি দেশকে দেখাতে পেরেছে ৷ তিনি দেশের মানুষ সম্পর্কে আরও বেশি করে জানতে পেরেছেন, মানুষের সহনশীলতা ও শক্তি চাক্ষুস করেছেন ৷ সোমবার শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে সমাপ্তি বক্তৃতাতেও রাহুলের মুখে উঠে এসেছে ভালোবাসা দিয়ে দেশকে হিংসা মুক্ত করার বার্তা ৷
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এরপর কী? ভারত জোড়ো যাত্রা তো শেষ হল ৷ কংগ্রেসের দাবি, আশাতীত সাফল্য পেয়েছে রাহুল গান্ধির এই পদযাত্রা ৷ এরপর কী ভাবছেন রাহুল? কংগ্রেসেরই বা পরবর্তী লক্ষ্য কী ? বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন ৷ তার আগে রয়েছে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ৷ এই নির্বাচনে ভালো ফল করতে ও আগের নির্বাচনের পরাজয়গুলির ক্ষতে কতটা মলম লাগাতে পারবে ভারত জোড়ো যাত্রা ? কংগ্রেস কর্মীদের মনোবলও কি আর আগের অবস্থায় ফিরবে ? এই প্রশ্নগুলি উঠছে ৷ নরেন্দ্র মোদি বিরোধী জোটে শক্তির ভরকেন্দ্র হিসেবে কংগ্রেসকে তুলে ধরতে কতটা সহায়ক হবে এই পদযাত্রা, তা নিয়েও বিশ্লেষণ চলছে রাজনৈতিক মহলে (what next for congress after Bharat Jodo Yatra)৷