মুম্বই, 20 নভেম্বর:আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Amin Poonawalla) মাদকের নেশাই কি ক্রমে ঘনিয়ে এনেছিল তাঁর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Walker) নৃশংস হত্যা ? এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না মনোবিদরা ৷ সূত্রের দাবি, পুলিশের জেরায় ইতিমধ্যেই নিজে মাদকাসক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আফতাব ৷ এমনকী, শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার (Shraddha Murder Case) পর আফতাব যখন তাঁর দেহ কেটে টুকরো করছিলেন, তার আগেই তিনি গাঁজা টেনেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে ৷ নেশার ঘোরেই নিহত প্রেমিকার দেহ খণ্ডবিখণ্ড করেছিলেন আফতাব !
পুলিশের জেরায় আফতাব জানিয়েছেন, গত 18 মে ঝগড়ার সময়েই শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি ৷ এরপর সারা রাত একই ঘরে শ্রদ্ধার মৃতদেহের সঙ্গে কাটান ! আর ভাবতে থাকেন, কীভাবে গ্রেফতারি এড়িয়ে প্রেমিকার দেহ লোপাট করবেন ! উপায় খুঁজতে দ্বারস্থ হন ইন্টারনেটের ৷ পরবর্তীতে, বিখ্য়াত একটি ইংরেজি ক্রাইম থ্রিলার সিরিজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই নাকি শ্রদ্ধার দেহ 35 টুকরো করেন আফতাব ! তারপর 18 দিন ধরে সেই দেহখণ্ডগুলি এক, এক করে দিল্লির নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দেন !
আরও পড়ুন:রাতে হেঁটে আসছে আফতাব, হাতের প্যাকেট কি শ্রদ্ধার দেহাংশ ? তদন্তে পুলিশ
দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার ঘনিষ্ঠ অন্তত ছ'জন দাবি করেছেন, আফতাব নিয়মিত নেশা করতেন ৷ এমনকী, শ্রদ্ধাও মাদাক সেবন করতেন বলতে দাবি করেছেন কেউ কেউ ৷ কিন্তু, এই দাবির স্বপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ হাতে পায়নি পুলিশ ৷ ইতিমধ্য়েই শ্রদ্ধার দুই বন্ধু গনউইন রডরিগেজ এবং রাহুল রাইয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে তারা ৷ এঁদের মধ্য়ে রাহুল শুধু শ্রদ্ধার বন্ধুই ছিলেন না, তিনি ছিলেন তাঁর সহকর্মী ৷ মুম্বইয়ের যে কল সেন্টারে শ্রদ্ধা একটা সময় চাকরি করতেন, সেখানকারই ম্যানেজার এই রাহুল ৷ এছাড়াও করণ বাহরি এবং শিবাণী মাত্রে নামে শ্রদ্ধার আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ ৷ এরও আগে এক চিকিৎসক এবং লক্ষ্মণ নদর নামে শ্রদ্ধার আর এক বন্ধুর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ৷ এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের ইন্সপেক্টর সম্পত পাতিল ৷
অন্যদিকে, আফতাবের বাবা-মায়ের খোঁজেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ তথ্য বলছে, গত 20 বছর ধরে ভাসাইয়ের একটি বাড়িতে থাকতেন এই দম্পতি ৷ কিন্তু, এবারের দীপাবলির পরই ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যান তাঁরা ৷ তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত আফতাবের বাবা-মায়ের কোনও হদিশ নেই ! পুলিশের অনুমান, তাঁরা ছেলের কীর্তি জানতে পেরে গিয়েছিলেন ৷ সেই কারণেই গা-ঢাকা দেন ৷