ইন্দোর, 22 নভেম্বর: মুক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণ, অভিযুক্তকে জরিমানা-সহ 43 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল জেলা আদালত। অভিযোগকারীর আইনজীবী আদালতে বিভিন্ন ধরনের যুক্তি খাড়া করলেও তাতে কোনও লাভ হয়নি ৷ প্রায় 2 বছর ধরে আদালতে মামলাটি চলছিল ৷ গতকাল তার রায় শুনিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলা আদালত ৷
ঘটনাক্রমে জানা যায়, 2021 সালে ঘটনার আগে ইন্দোর শহরে, 17 বছর বয়সি মুক ও বধির নাবালিকার সঙ্গে আসামীর সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় ৷ তারপরই ওই আসামী প্রতি রাতে 11টা নাগাদ নাবালিকাকে ভিডিয়ো কল করত। অভিযুক্ত সাংকেতিক ভাষা (সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ) জানত, তার কারণেই বন্ধুত্ব শুরু হয় দু'জনের মধ্য়ে। এরই সুযোগ নিয়ে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। উজ্জয়িনী ইন্দোর রোডে, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ৷ এই ঘটনার কথা মেয়েটি বাড়ির পরিবারের সদস্যদের জানায় ৷
মেয়েটির পরিবার লাসুদিয়া থানায় অভিযোগ জানায় ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ৷ তার বিরুদ্ধে 2021 সালে 26 ডিসেম্বর একটি মামলা রুজু হয় ৷ পুলিশ জানায়, নাবালিকার মা সকালে কাজে গিয়েছিলেন ৷ বাড়িতে ছিল ওই নাবালিকা ও তার ভাই ৷ নাবালিকার মা কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেন নাবালিকা মেয়ে নেই। সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটিকে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে না-পাওয়ায় নাবালিকার মা লাসুদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷
অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েটিকে গুরুতর অবস্থায় পাওয়া যায় ঘটনাস্থলে। অভিযুক্ত ওই মুক ও বধির নাবালিকাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ৷ পরিবারের অভিযুক্তদের ভিত্তিতে দেখে পুলিশ বিজয় সোলাঙ্কিকে গ্রেফতার করে ৷ সে দেপালপুরের বাসিন্দা ৷ তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। আদালতে শুনানির পর আসামীকে জরিমানা-সহ 43 বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।