বীড় (মহারাষ্ট্র), 7 অগস্ট: মহারাষ্ট্রের বীড় জেলায় এক বিধবা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৷ গত 4 অগস্ট বীড় জেলার নেকনুর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে ৷ অভিযোগ, বছর পঁচিশের ওই বিধবার প্রেমিক, তার স্ত্রী এবং ভাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৷ মহিলাকে গাড়িতে তুলে মারধর করা হয় বলেও জানা গিয়েছে ৷ এরপর চলন্ত গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয় তাঁকে ৷ ধর্ষণের পর সাতরা পোতরা এলাকায় যুবতীকে গাড়ি থেকে নগ্ন অবস্থায় নামিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে নেকনুর থানার পুলিশ ৷ ধর্ষণ-সহ তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে ৷ তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ৷
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত 4 অগস্ট তিনি বাড়ি ফিরবেন বলে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন ৷ সেই সময় তাঁর প্রেমিক সুরেশ নামদেব লামবাতে গাড়ি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন ৷ গাড়িতে ছিলেন সুরেশের ভাই অমল নামদেব লামবাতে এবং সুরেশের স্ত্রী সবিতা লামবাতে ৷ জোর করেই তাঁকে গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগে বলেছেন নির্যাতিতা মহিলা ৷ গাড়ির মধ্যেই সুরেশ এবং তাঁর ভাই নির্যাতিতাকে মারধর শুরু করেন ৷
অভিযোগ, তাঁদের মধ্যেই একজন তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং অপরজন মহিলাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ৷ এরপর গাড়ি সাতরা পোতরায় সুরেশদের বাড়ির সামনে থামে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা ৷ সেখানে সুরেশের স্ত্রী তাঁকে মারধর করেন এবং জোর করে বিবস্ত্র করে দেন ৷ সেখান থেকে সাতরা পোতরা রেলস্টেশনের বাইরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা ৷ মহিলাকে ওই অবস্থায় দেখে স্থানীয়রাই নেকনুর থানায় খবর দেয় ৷ পুলিশ মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে ৷ নির্যাতিতা মহিলার থেকে পুরো ঘটনা শুনে ও অভিযুক্তের সম্পর্কে জেনে ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন:কামরূপে দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ধর্ষণের অভিযোগ স্থানীয়দের
অপরাধে ব্যবহার হওয়া গাড়ির খোঁজ শুরু করেছে তদন্তকারী দল ৷ ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে পুলিশের দু’টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের খোঁজে সর্বত্র তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বীড় জেলার পুলিশ সুপার ৷ বীড় জেলার পিংক স্কোয়াডের প্রধান পুলিশ কর্তা বিলাস হাজারে নিজে এই মামলার তদন্তে রয়েছেন ৷ তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শীঘ্রই মূল অভিযুক্ত সুরেশ-সহ বাকি দু’জনকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে ৷