নয়াদিল্লি, 16 ডিসেম্বর:দিল্লির একটি আদালত শনিবার 13 ডিসেম্বর সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ষষ্ঠ অভিযুক্ত মহেশ কুমাওয়াতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷ এদিন সরকারি আইনজীবী সওয়ালে জানান, গত দু'বছর ধরে সংসদে হামলার এই ষড়যন্ত্র করছিলেন এই ব্যক্তি ৷
দিল্লি পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ বিচারক হরদীপ কৌর, কুমাওয়াতকে দিল্লি পুলিশের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ সরকারি আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, অভিযুক্তরা দেশে অরাজকতা তৈরি করতে চেয়েছিল ৷ যাতে তারা সরকারকে তাদের অন্যায় এবং বেআইনি দাবি পূরণে বাধ্য করতে পারে। প্রসিকিউটর আদালতে বলেন, "তিনি তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করতে এবং বৃহত্তর ষড়যন্ত্র লুকানোর জন্য মাস্টারমাইন্ড অভিযুক্ত ললিত ঝা'কে মোবাইল ফোন নষ্ট করতেও সাহায্য করেছিলেন।" গোটা ষড়যন্ত্র উদঘাটনের জন্য তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ ৷
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার নির্দেশ দেয়। যদিও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী পুলিশের আবেদনের বিরোধিতা করেন ৷ তিনি পালটা দাবি করে জানান, কুমাওয়াতকে তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের কারণে কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছে। যুক্তিতর্ক চলাকালীন, সরকারি আইনজীবী আদালতকে জানান, হামলার পিছনে প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তার যোগসূত্র খুঁজে বের করার জন্য অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
দিল্লি পুলিশের মতে, কুমাওয়াতকে প্রমাণ ধ্বংস এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি ছিল এই মামলার ষষ্ঠ গ্রেফতার। বৃহস্পতিবার রাতে ললিত ঝা-এর সঙ্গে কুমাওয়াত নিজে থেকে থানায় এসেছিলেন ৷ দু'জনকেই স্পেশাল সেলে রাখা হয়েছিল। এরপর থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
- সাংসদদের বহিষ্কারের সঙ্গে সংসদ ভবনে হানার কোনও যোগ নেই, চিঠিতে জানালেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা
- সংসদে হামলাকারীদের 'আত্মদহনে'র পরিকল্পনা ছিল! চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল্লি পুলিশের
- সংসদে হামলার নেপথ্যে আছে বেকারত্ব-মূল্যবৃদ্ধি, ঘুরপথে মোদি সরকারকে খোঁচা রাহুলের