নয়াদিল্লি, 29 নভেম্বর: লিভ-ইন সম্পর্কের (Live-in Relationship) পরিণতি কি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হিংসাত্মক হয়ে যায় ? শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের (Shraddha Walker Murder Case) ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই এই প্রশ্ন বারবার উঠেছে বিভিন্ন মহলে ৷ অভিযোগ, দিল্লির ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধাকে খুন করেন তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawalla) ৷ ফলে রাজধানীতে অন্য যাঁরা লিভ-ইন করেন, তাঁদের অবস্থা ঠিক কী ? সেই বিষয়ে খোঁজখবর চালাতে গিয়ে ইটিভি ভারতের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ দিল্লি পুলিশের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর 560টি ক্ষেত্রে লিভ-ইন সম্পর্কে হিংসার (Violence in Live-in Relationship) অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷
তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই যাঁরা এই হিংসার শিকার, তাঁরা সকলেই উত্তর-পূর্ব ভারতের (North East India) বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ ৷ মেয়েদের অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে ৷ তার পর তাঁদের প্রেমিকরা তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷ এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) স্পেশাল কমিশনার রবীন হিবু ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও নীতি পুলিশি করব না ৷ কে কীভাবে বাঁচবেন, তার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে ৷ কিন্তু উত্তর পূর্ব ভারত থেকে আসা একজন দাদার মতো বলব যে আমি বিবাহের পবিত্রতাহীন এমন লিভ-ইন সম্পর্ককে স্বীকার করব না ৷’’
তিনি আরও জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে অনেক দূরে মেট্রো শহরগুলিতে অনেকে কাজ করতে আসেন ৷ সেখানে এসে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করা স্বাভাবিক ৷ কিন্তু প্রত্যেকের উচিত নিজস্ব নৈতিক শিক্ষাকে অনুসরণ করা ৷ আর কোনও সম্পর্ক শুরুর আগে দেখে নেওয়া যে যাঁর সঙ্গে থাকতে চাইছেন, তাঁর মধ্যে জীবনসঙ্গী হওয়ার সমস্ত গুণ আছে কি না !