প্রতাপগড় (উত্তরপ্রদেশ), 19 এপ্রিল: শনিবার রাতে লাইভ শুটআউট দেখেছে দেশ। গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়। সাংবাদিকদের ভিড়ে মিশে গুলি চালায় লাভলেশ, সানি আর অরুণরা। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের গ্রেফতার করা হয় । আদালতে পেশের পর সোমবার প্রতাপগড় জেলে নিয়ে আসা হয় এই তিনজনকে । সূত্রের খবর, অন্য কয়েদির থেকে এই তিনজনকে আলাদা রাখা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে তিনজনই ঘুমিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ছে তিনজন।
গ্রেফতারির পর প্রথমে আদালতে পেশ এবং তারপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জেলে নিয়ে আসা হয়েছে লাভলেশদের। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এই তিনজনকে আলাদা ব্যারাকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই তিনজনের নিরাপত্তায় আছেন এক ডজন পুলিশ কর্মী। তাঁরা সর্বক্ষণ এই তিনজনের গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখছেন। তাছাড়া এই তিনটি ব্যারাকেই সিসিটিভি বসানো হয়েছে। সেখান থেকেও চলছে নজরদারি।
জেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এই তিনজনের ঘুম ভাঙে। বাকি কয়েদির সঙ্গেই তারা সকালের খাবার খায়। জেল আধিকারিকদের একটি অংশ মনে করছেন এই তিনজনের আচরণে উদ্বেগের লেশ মাত্র নেই। তারা যে এতবড় কাণ্ড ঘটিয়েছে তা তাদের দেখে বোঝার উপায় নেই ।
বিগত কয়েকদিন ধরেই নতুন করে চর্চায় উঠে এসেছিল আতিক আহমেদ । একশোর বেশি মামলা ছিল এই প্রাক্তন সাংসদের নামে । নিরাপত্তার চাদর তৈরি করে তাঁকে এক রাজ্য থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কাজও করেছে পুলিশ। তবে শনিবার রাতে প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে যাওয়ার সময় আতিক এবং তার ভাইকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের সামনেই এমন ঘটনা কী করে ঘটে তা নিযেও চর্চার অন্ত নেই। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্নে যোগী সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছে বিরোধী শিবির। আগামিদিনেও যে এই ইস্যুতে বিরোধীরা চাপ বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।
আরও পড়ুন: 10 সেকেন্ডে শেষ 4 দশকের ত্রাস, দশম ফেল আতিক কীভাবে মাফিয়া থেকে হলেন রাজনীতিক