আগরতলা, 26 জুলাই : গেরুয়া রাজ্যে পুলিশের খপ্পরে পড়তে হল টিম পিকে-র 22 জন সদস্যকে ৷ ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে এই 22 জনকে পাকড়াও করেছে সে রাজ্যের পুলিশ ৷ অভিযোগ, বৈধ অনুমতি ছাড়াই ত্রিপুরায় একটি সমীক্ষা চালাচ্ছিলেন তাঁরা ৷ এমনকী, ভুয়ো পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহেরও অভিযোগ উঠেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে ৷ বিষয়টি জানাজানি হতেই এ নিয়ে টুইট করেন এ রাজ্যের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee) ৷ যদিও তাঁর দাবি, 22 নয়, আই-প্যাকের 23 জন সদস্যকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে ত্রিপুরায় ৷
আরও পড়ুন :ভোট কুশলী হিসাবে প্রশান্ত কিশোর রোল মডেল, দরাজ প্রশংসা কল্যাণের
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) তত্ত্বাবধানেই কাজ করে আই-প্য়াক (Indian Political Action Committee) ৷ বিভিন্ন রাজ্য়ে সংশ্লিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজের বরাত নেয় তারা ৷ ভোট সংক্রান্ত সমীক্ষা থেকে শুরু করে ক্লায়েন্টের হয়ে ভোটপ্রচার, সবকিছুই করেন টিম পিকে-র সদস্যরা ৷ উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের দায়িত্বেও ছিল এই আই-প্য়াক ৷ ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বাংলায় মমতার হ্য়াট্রিকের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে পিকে এবং তাঁর এই টিমের ৷
এই প্রেক্ষাপটে ত্রিপুরার এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনীতি ৷ আই-প্যাক সদস্যদের আটকের খবর পেয়েই টুইট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ তাঁর দাবি, বাংলার পর ত্রিপুরাতেও যাতে ঘাসফুল না ফুটে যায়, তা নিশ্চিত করতেই নাকি এই ধরপাকড় ৷ ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে পেশীশক্তি ব্যবহার করারও অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক ৷ তাঁর দাবি, এভাবে দেশের গণতন্ত্রকে ধংস করা হচ্ছে ৷ বিজেপি ভয় পেয়েই এমন সব কাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি ৷