নয়াদিল্লি, 1 ফেব্রুয়ারি: ভারতের আদিবাসী ও প্রান্তিক জনজাতিগুলির উন্নয়নের জন্য এবারের বাজেটে (Union Budget 2023) 15 হাজার কোটি টাকা (15 Thousand Crore for Development of Tribal and Marginalised Section) বরাদ্দ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) ৷ যা গতবছরের বাজেট বরাদ্দের প্রায় পাঁচগুণ বেশি ! যা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের ৷ রাজনৈতিক ও অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, চব্বিশের লোকসভা ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখতেই এই পদক্ষেপ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার ৷
বুধবারের বাজেট ভাষণে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, "দুর্বল জনগোষ্ঠীগুলির আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী পিভিটিজি (পার্টিকুলারলি ভালনারেবল ট্রাইবাল গ্রুপস) উন্নয়ন মিশন শুরু করা হয়েছে ৷ এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য আগামী তিনবছরে মোট 15 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন:মন্ত্রীদের বেতন-বিদেশ সফরের জন্য বাজেটে কত বরাদ্দ করলেন অর্থমন্ত্রী, জেনে নিন
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বাজেট বরাদ্দ খরচ করে দেশের আদিবাসী পরিবারগুলির জন্য ন্যূনতম নাগরিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে ৷ তার মধ্যে রয়েছে আবাসন প্রকল্প, পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ ও নিকাশিব্যবস্থা, জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পেশার সন্ধান প্রভৃতি ৷ এর বাইরে দেশের বর্তমান 740টি একলব্য মডেল আবাসিক স্কুলগুলির জন্য 38 হাজার 800 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মী নিয়োগের কথাও ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমন ৷ এর ফলে আদিবাসী পড়ুয়ারা যেমন উপকৃত হবে, তেমনই আদিবাসী যুবসমাজের একটা বড় অংশের কর্মসংস্থান করা সম্ভব হবে ৷
এছাড়াও এদিন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা কৌশল বিকাশ যোজনা ঘোষণা করেন নির্মলা ৷ বিভিন্ন শিল্পের কারিগরদের বিশেষ সহযোগিতা প্যাকেজ সরবরাহ করবে এই নয়া যোজনা ৷ নির্মলা বলেন, মূলত তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির কারিগররা এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ৷
প্রসঙ্গত, আসন্ন দিনগুলিতে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, ওডিশা এবং ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট রয়েছে ৷ আর এই সবক'টি রাজ্য আদিবাসী অধ্যুষিত ৷ মূলত সেই ভোটব্যাংকের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রের এই দরাজ হস্ত বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷ সর্বোপরি আগামী বছর রয়েছে লোকসভা নির্বাচন ৷ তার আগে দলিত, সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং প্রান্তিক জনজাতিবিরোধী তকমা ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া গেরুয়াশিবির ৷ সেই কারণেই মাত্র একবছরের ব্যবধানে সংশ্লিষ্ট খাতে বাজেটের বরাদ্দ পাঁচগুণ বেড়েছে বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল ৷