কোট্টায়ম (কেরালা), 13 নভেম্বর : বয়স 100-র কোটা পার করেছে । কিন্তু শিশুসুলভ সারল্যটুকু যেন বেড়েছে বই কমেনি । তাই স্থান-কাল-পাত্রের ফারাক বোঝেন না ৷ মনে ফূর্তি হলেই ফোকলা দাঁতে একগাল হেসে ওঠেন খিল খিল করে ৷ তবে শুধুই হাসি নয়, কঠিন অধ্যাবসায়ও রয়েছে ৷ তাতেই গোটা রাজ্যের মন জিতে নিলেন কুট্টিয়াম্মা ৷
নয় নয় করে জীবনের 104টি বসন্ত পার করেছেন কুট্টিয়াম্মা ৷ বার্ধক্যের ছাপ পড়েছে চেহারায় ৷ শ্রবণশক্তি কার্যত হারিয়েছেন ৷ তাই এই করোনার সময়ও তাঁর গা ঘেঁষেই দাঁড়াতে হয় ৷ কানের কাছে মুখ রেখে উঁচু গলায় কথা বলতে হয় সামনের জনকে ৷ তবেই প্রতিক্রিয়া মেলে ৷ কিন্তু বার্ধক্যজনিত এই ‘অক্ষমতা’ নিয়েই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন কুট্টিয়াম্মা ৷
ঐতিহ্যের ধারা মেনে এ বছরও সাক্ষরতা পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছে কেরালায় ৷ তার জেরেই পড়াশোনার জগতে হাতেখড়ি হয়েছে কুট্টিয়াম্মার ৷ সাদা কাগজে পেনসিলের আঁচড় কেটে অক্ষর আঁকা শিখেছেন তিনি ৷ পড়া বুঝে উত্তর দিতেও শিখেছেন ৷ আর তাতেই কৃতী ছাত্রী হিসেবে উঠে এসেছেন শতায়ু এই বৃদ্ধা ৷
আরও পড়ুন:Mahua Moitra : গোয়ায় তৃণমূলের দায়িত্বে মহুয়া
রাজ্য সাক্ষরতা পরীক্ষায় 100-র মধ্যে 89 পেয়েছেন কুট্টিয়াম্মা ৷ এ যাবৎ স্কুলে না গেলেও, বর্তমানে তিনি চতুর্থ শ্রেণির প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখতে সক্ষম ৷ ইতিহাস শিখেছেন অল্পবিস্তর ৷ দিব্যি আওড়ে ফেলেন কবিতার লাইনও , যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় পরীক্ষকদেরও ৷ তবে কুট্টিয়াম্মা সেই অমায়িকই রয়েছেন ৷ শুধু প্রশংসা শুনলেই কোঁচকানো চামড়ায় চোখ ঢেকে যায় ৷ খিল খিল করে হেসে ওঠেন ৷