পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

তেলাঙ্গানায় 60 মিনিটে 10 লক্ষ চারা রোপণ, কর্নাটকে 21 একরের জঙ্গলে সবুজায়নের বার্তা

সবুজ না থাকলে, চারদিক খালি হয়ে যাবে একদিন ৷ তাই সবুজের প্রয়োজন বুঝে মাত্র 60 মিনিটে 10 লক্ষ চারা লাগালেন টিআরএস-এর 30 হাজারেরও বেশি সদস্য ৷ অন্যদিকে 10 বছরে একটি রুখাসুখা জমিকে ঘন জঙ্গলে বদলে ফেলেছেন শিল্পপতি সুরেশ কুমার আর পরিবেশবিদ অখিলেশ ছিপলি ৷

ঊষা কিরণ
ঊষা কিরণ

By

Published : Jul 5, 2021, 10:58 AM IST

আদিলাবাদ (তেলাঙ্গানা), 5 জুলাই : 1 ঘণ্টায় 10 লক্ষ ৷ হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও 60 মিনিটের মধ্য়ে রেকর্ড সংখ্যক চারা রোপণ করা হয়েছে তেলাঙ্গানার আদিলাবাদ জেলায় ৷ রবিবার "গ্রিন ইন্ডিয়া চ্যালেঞ্জ" (Green India Challenge)-এর চার বছর উপলক্ষ্যে এই সবুজায়নের উদ্যোগ নেন রাজ্য়সভার সাংসদ যোগীনিপল্লি সন্তোষ কুমার (MP Joginipally Santosh Kumar) ৷

পুরো এলাকাকে 10টি ভাগে বিভক্ত করে তেলাঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি-র (Telangana Rashtra Samithi, TRS) 30 হাজারেরও বেশি সদস্য মিলে এই তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ৷ আদিলাবাদে দুর্গানগরের গ্রামাঞ্চলে 200 একর জায়গায় 5 লক্ষ চারা রোপণ করা হয়েছে ৷ 2 লক্ষ আদিলাবাদের বেলা মণ্ডল প্রান্তিক অঞ্চলে আর শহরাঞ্চলের 45টি বাড়িতে 1,80,000 চারা লাগিয়েছেন তাঁরা ৷ এ ছাড়া আর অ্যান্ড বি রোডে 1,20,000 চারা রোপণ করা হয়েছে ৷

চলছে চারা রোপণ

আরও পড়ুন : Gir National Park : দু'সপ্তাহে 5 টি সিংহের মৃত্যু, কারণ নিয়ে ধন্দ

"হরা হে তো ভরা হে" (সুবজ থাকলে ভর্তি থাকবে) স্লোগানে 2018 সালে গ্রিন চ্যালেঞ্জের (Green India Challenge) সূচনা করেছিলেন সাংসদ যোগীনিপল্লি সন্তোষ কুমার (MP Joginipally Santosh Kumar) ৷ এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নিয়ম মেনে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ (Guiness Book of World Records)-এ পাঠানো হয়েছে, যাতে এটা সর্বোচ্চ স্থান পায় ৷" সাংসদ ছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন তেলাঙ্গানার পরিবেশ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আলোলা ইন্দ্রা করণ রেড্ডি, বন দফতরের বেশ কিছু আধিকারিকেরা আর টিআরএস-এর বিধায়কেরা ৷

দুর্গানগর অঞ্চলে চারা রোপণ কর্মসূচি দেখার পর ওয়ান্ডার বুক অফ রেকর্ডস (Wonder Book of Records)-এর তরফে প্রশংসাজনক সংশাপত্র (Appreciation Certificate) পেয়েছেন উদ্যোক্তারা ৷

অন্যদিকে, কর্নাটকের শিমোগা জেলার সাগরে 21 একর রুক্ষ জমি কিনেছিলেন শিল্পপতি সুরেশ কুমার ৷ পরিবেশবিদ অখিলেশ ছিপলির সাহায্যে 10 বছরে সেই সুখা জমিকে ঘন জঙ্গলে রূপান্তরিত করেছেন তিনি ৷ নাম দিয়েছেন "ঊষা কিরণ" (Usha Kiran), ভোরের আলো ৷ এই প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ অখিলেশ বলেন, "পশ্চিমঘাট পর্বতমালার বিশেষ কিছু গাছও এখানে রয়েছে ৷ বেশিরভাগই নিজে থেকে বেড়ে উঠছে ৷ আমরা শুধু সেগুলোকে রক্ষা করছি ৷ এটা পশ্চিমঘাটের জঙ্গল ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details