রাঁচি, 15 মে: দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন ৷ তার মাঝেই ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আলমগীর আলম ৷ কয়েকদিন আগে তাঁর ওএসডি ও পরিচারকের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয় । গত দু'দিন ধরে তাঁকে জেরা করছিল ইডি । মঙ্গলবার, ইডি তাঁকে প্রায় নয় ঘণ্টা জেরা করে ৷ আজও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । তাতেই অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের এই মন্ত্রীকে ৷
জিজ্ঞাসাবাদের দ্বিতীয় দিনে প্রায় 6 ঘণ্টা জেরার পর আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ (পিএমএলএ) আইনের অধীনে 70 বছর বয়সি এই মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি ৷ মঙ্গলবার ফেডারেল এজেন্সি তাঁকে নয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাঁর বক্তব্যও রেকর্ড করা হয়েছিল ৷
এজেন্সি গত সপ্তাহে মন্ত্রী আলমের ব্যক্তিগত সচিব এবং রাজ্য প্রশাসনিক পরিষেবা অফিসার সঞ্জীব কুমার লাল এবং পরবর্তী গৃহকর্মী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ তাঁদের সঙ্গে যুক্ত একটি ফ্ল্যাট থেকে 32 কোটি টাকার বেশি নগদ বাজেয়াপ্ত করার পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল এই দু'জনকে । আর্থিক তছরূপের তদন্তে নেমে রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরে অনিয়ম এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷
গ্রেফতারকৃত দুই ব্যক্তির রিমান্ড চাওয়ার সময় ইডি এখানে একটি বিশেষ পিএমএলে আদালতকে জানিয়েছিল যে, সঞ্জীব কুমার লাল কিছু প্রভাবশালী লোকের পক্ষে টাকা নিয়েছিলেন ৷ গ্রামীণ বিভাগের উপর থেকে নিচুস্তরের সকল সরকারি কর্মকর্তারা অভিযুক্তের সঙ্গে জড়িত ।
ইডি মোট নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় 36.75 কোটি টাকা ৷ কারণ, এজেন্সি সঞ্জীব লালের জায়গা থেকে 10.05 লক্ষ টাকা এবং একটি ঠিকাদারের জায়গা থেকে 1.5 কোটি টাকা-সহ অন্যান্য জায়গা থেকে প্রায় 3 কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ৷
আরও পড়ুন :